গালিভার্স ট্রাভেলস (Gulliver's Travels) হল জোনাথান সুইফটের লেখা একটি বিশ্বখ্যাত উপন্যাস। এটি ১৭২৬ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। এই বইটি মূলত একটি ব্যঙ্গধর্মী ভ্রমণকাহিনী, যেখানে লেখক মানবজীবনের নানা দিক এবং সমাজের অসঙ্গতিগুলো চমৎকারভাবে তুলে ধরেছেন। উপন্যাসটি চারটি ভিন্ন ভিন্ন অভিযানের মাধ্যমে গঠিত, যা প্রতিটি একটি বিশেষ রূপক ও গভীর অর্থ বহন করে।
উপন্যাসের সারসংক্ষেপ:
১. লিলিপুটে অভিযান: গালিভার প্রথমে লিলিপুট নামে একটি ছোট মানুষের দেশে পৌঁছায়। এই দেশের মানুষের গড় উচ্চতা প্রায় ৬ ইঞ্চি। এখানে গালিভার মুখোমুখি হয় রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র এবং যুদ্ধের মজার ঘটনা। এটি মূলত তৎকালীন ব্রিটিশ রাজনীতির ব্যঙ্গ।
২. ব্রোডিংন্যাগে অভিযান: পরবর্তী অভিযানে গালিভার গন্তব্য হয় এক জায়ান্টদের দেশে, যেখানে মানুষের দৈর্ঘ্য প্রায় ৭২ ফুট। এখানে গালিভার নিজেকে এক ক্ষুদ্র মানব হিসেবে আবিষ্কার করে। এই অংশে সমাজের নৈতিকতা এবং রাজনীতির প্রতি একটি ভিন্ন দৃষ্টিকোণ তুলে ধরা হয়েছে।
৩. লাপুটা এবং অন্যান্য দেশ: তৃতীয় অভিযানে গালিভার ভ্রমণ হয় লাপুটা, যা একটি ভাসমান দ্বীপ। এখানকার মানুষ বিজ্ঞান এবং গণিতের প্রতি অতিরিক্ত আগ্রহী। তবে তাদের জ্ঞান ব্যবহারিক জীবনে কাজে আসে না। এটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অযৌক্তিক ব্যবহারের সমালোচনা।
৪. হুইনহিমদের দেশে অভিযান: শেষ অভিযানে গালিভার গন্তব্য হয় হুইনহিমদের দেশ, যেখানে ঘোড়ারা বুদ্ধিমান এবং যুক্তিবাদী প্রাণী, আর মানুষ (যাদের ইয়াহু বলা হয়) বর্বর এবং লোভী। এটি মানবজাতির নৈতিক এবং নৈতিক দুর্বলতার প্রতি একটি তীব্র ব্যঙ্গ।
মূল বার্তা:
"গালিভার্স ট্রাভেলস" কেবল একটি ভ্রমণকাহিনী নয়; এটি মানুষের সমাজ, রাজনীতি, নৈতিকতা এবং জীবনযাপনের প্রতি গভীর ব্যঙ্গ ও পর্যবেক্ষণ।
আপনি যদি বইটি বাংলায় পড়তে চান, বিভিন্ন বাংলা অনুবাদ বাজারে পাওয়া যায়। এটি ছাত্র এবং সাহিত্যপ্রেমীদের জন্য অত্যন্ত উপভোগ্য এবং চিন্তার খোরাক জোগায়।
(Gulliver's Travels) হল জোনাথান সুইফটের লেখা একটি বিশ্বখ্যাত উপন্যাস। এটি ১৭২৬ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। এই বইটি মূলত একটি ব্যঙ্গধর্মী ভ্রমণকাহিনী, যেখানে লেখক মানবজীবনের নানা দিক এবং সমাজের অসঙ্গতিগুলো চমৎকারভাবে তুলে ধরেছেন। উপন্যাসটি চারটি ভিন্ন ভিন্ন অভিযানের মাধ্যমে গঠিত, যা প্রতিটি একটি বিশেষ রূপক ও গভীর অর্থ বহন করে।
উগালিভার্স ট্রাভেলসপন্যাসের সারসংক্ষেপ:
১. লিলিপুটে অভিযান: গালিভার প্রথমে লিলিপুট নামে একটি ছোট মানুষের দেশে পৌঁছায়। এই দেশের মানুষের গড় উচ্চতা প্রায় ৬ ইঞ্চি। এখানে গালিভার মুখোমুখি হয় রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র এবং যুদ্ধের মজার ঘটনা। এটি মূলত তৎকালীন ব্রিটিশ রাজনীতির ব্যঙ্গ।
২. ব্রোডিংন্যাগে অভিযান: পরবর্তী অভিযানে গালিভার গন্তব্য হয় এক জায়ান্টদের দেশে, যেখানে মানুষের দৈর্ঘ্য প্রায় ৭২ ফুট। এখানে গালিভার নিজেকে এক ক্ষুদ্র মানব হিসেবে আবিষ্কার করে। এই অংশে সমাজের নৈতিকতা এবং রাজনীতির প্রতি একটি ভিন্ন দৃষ্টিকোণ তুলে ধরা হয়েছে।
৩. লাপুটা এবং অন্যান্য দেশ: তৃতীয় অভিযানে গালিভার ভ্রমণ হয় লাপুটা, যা একটি ভাসমান দ্বীপ। এখানকার মানুষ বিজ্ঞান এবং গণিতের প্রতি অতিরিক্ত আগ্রহী। তবে তাদের জ্ঞান ব্যবহারিক জীবনে কাজে আসে না। এটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অযৌক্তিক ব্যবহারের সমালোচনা।
৪. হুইনহিমদের দেশে অভিযান: শেষ অভিযানে গালিভার গন্তব্য হয় হুইনহিমদের দেশ, যেখানে ঘোড়ারা বুদ্ধিমান এবং যুক্তিবাদী প্রাণী, আর মানুষ (যাদের ইয়াহু বলা হয়) বর্বর এবং লোভী। এটি মানবজাতির নৈতিক এবং নৈতিক দুর্বলতার প্রতি একটি তীব্র ব্যঙ্গ।
মূল বার্তা:
"গালিভার্স ট্রাভেলস" কেবল একটি ভ্রমণকাহিনী নয়; এটি মানুষের সমাজ, রাজনীতি, নৈতিকতা এবং জীবনযাপনের প্রতি গভীর ব্যঙ্গ ও পর্যবেক্ষণ।
আপনি যদি বইটি বাংলায় পড়তে চান, বিভিন্ন বাংলা অনুবাদ বাজারে পাওয়া যায়। এটি ছাত্র এবং সাহিত্যপ্রেমীদের জন্য অত্যন্ত উপভোগ্য এবং চিন্তার খোরাক জোগায়।
0 Comments